মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম করার সহজ উপায় (৩০+ আইডিয়া)

মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম – বর্তমান ডিজিটাল যুগে ঘরে বসে লাখ টাকা আয় করা সম্ভব। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য এটা অনেক বড় একটি সুযোগ। অনেক মহিলা আছেন যারা স্বাধীন ভাবে টাকা উপার্জন করে জীবন অতিবাহিত করতে চান। 


কিন্তু পারিবারিক সমস্যা বা ধর্মিয় অনেক কারণে বাহিরে কাজ করার কোনো সুযোগ থাকে না। কিন্তু তাই বলে কি ইনকাম করতে পারবেন না?
বিষয়টা মোটেও এমন নয়। বর্তমান যুগে বাসায় বসে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। যদি আপনি উপায় গুলো সম্পর্কে জেনে সেটার উপর ভিত্তি করে আপনার দক্ষতা তৈরি করেন তবে বাসায় বসে ইনকাম করা তেমন কঠিন কিছুই না।
আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম করার প্রায় সকল কিছুই আলোচনা করার চেষ্টা করবো। যদি আপনি একটি মাত্র আর্টিকেলে সব জানতে চান তবে পড়ে ফেলুন আজকের আর্টিকেল।

সুচিপত্রঃ মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম ফ্রিল্যান্সিং – মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম

  • ক্রাফট পেইন্টিং
  • নিজের তৈরি কিটস
  •  উপহার বানিয়ে ইনকাম
  •  দর্জির কাজ
  •  বাড়িতে তৈরি জুয়েলারি

ই-কমার্স ব্যবসা – মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম

  • ড্রপশিপিং
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং
  •  প্রিন্ট
  •  অনলাইন দোকান

কন্টেন্ট ক্রিয়েটর – মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম

  •  ব্লগিং
  • ভিডিও কন্টেন্ট
  •  ই- বুক তৈরি

হোম মেইড সার্ভিস – মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম

  • রান্না
  •  অনলাইন কোর্স তৈরি
  •  ব্যাক্তিগত কোচিং
  • অনলাইন ফিটনেস ক্লাস

মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম করা সম্পর্কে আমাদের মতামত

মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম

মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম করার অনেক উপায় রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং, ক্রাফটিং, ই কমার্স ইত্যাদি। তবে ঘরে বসে ইনকাম করার জন্য আপনাকে ইন্টারনেট, কম্পিউটার ভালো ভাবে বুঝতে হবে। যদি এই বিষয় গুলো কে আপনি ভালোভাবে রপ্ত করতে পারেন তবে নিচে দেয়া উপায় গুলোর মধ্যে যে কোনো একটির দক্ষতা অর্জন করে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং – মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম

ঘরে বসে ইনকাম করার জন্য বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলো ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা। এ ক্ষেত্রে আপনাকে দক্ষ হতে হবে কাজের উপরে। যদি আপনার কোনো কাজের উপর দক্ষতা থাকে তাহলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস অথবা মার্কেটপ্লেস এর বাহিরে ক্লায়েন্ট খুজে বের করে তাদের কাজ করতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং জগতে যেসব কাজ করে বেশি টাকা আয় করা যায় সেগুলো হলো –

কপিরাইটিং

অনলাইনে আপনি লেখালেখি করে আয় করতে পারবেন। বিভিন্ন ওয়েবসাইটের জন্য অনেক আর্টিকেলের প্রয়োজন হয়। যেমন আপনি এখন যে আর্টিকেল টা পড়ছেন সেটাও ক্লায়েন্ট এর ক্রয় করা। কপিরাইটিং এর মধ্যে নিউজ আর্টকেল, ব্লগ, মার্কেটিং আইডিয়া, ভিডিও স্ক্রিপ্ট ইত্যাদি করার মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব।

গ্রাফিক্স ডিজাইন


ক্রিয়েটিভ কাজ গুলোর মধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইন অন্যতম। যদি আপনার বিভিন্ন ডিজাইন করার অভিজ্ঞতা থাকে তবে আপনার জন্য এই কাজ টি অনেক সহজ হবে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মধ্যে আপনি লোগো, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যানার বিজ্ঞাপন, কার্ড, টি-শার্ট ইত্যাদি ডিজাইন করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ শিখতে বা করতে চাইলে আপনাকে ভালো মানের একটি কম্পিউটার তৈরি করে নিতে হবে।

 সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেসন


ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে অনেক বেশি চাহিদা সম্পন্ন একটি কাজ গুলো সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেসন। আমরা গুগলে বা ইউটিউবে যখন কিছু খুজি তখন প্রথম যে কন্টেন্ট গুলো আসে সেগুলোকে দেখার চেষ্টা করি।

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেসন এর মাধ্যমে মূলত র‍্যাংকিং ফ্যাক্টর নির্ভর করা হয়। এই ধরণের কাজ গুলো শিখে আপনি বাসায় বসেই অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।

 অনলাইন শিক্ষকতা

শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। প্রযুক্তির উন্নয়ন এর কারনে বর্তমানে অনলাইনেই সব বিষয়ের উপরে শিক্ষক খুজে পাওয়া খুব সহজ। যদি আপনি ভালো ভাবে পড়াতে পারেন তবে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষকতা করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

 ডাটা এন্ট্রি

মাইক্রোসফট অফিস সফটওয়্যার এর কাজ ভালো ভাবে জানা থাকলে ডাটা এন্ট্রি এর কাজ করতে পারবেন মার্কেটপ্লেসে। এ ধরণের কাজেও বেশ চাহিদা রয়েছে। যেমন – এক্সসেল, ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট ইত্যাদি।

ট্রান্সলেশন

ট্রান্সলেশন এর কাজের ক্ষেত্রে দুইটি ভাষায় আপনার দক্ষতা থাকা লাগবে। যেমন ধরুন – হিন্দি ভাষা থেকে বাংলা তে ট্রান্সলেশন করা আবার বাংলা থেকে ইংরেজিতে করা।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

ওয়েবসাইট তৈরি করার কাজ এটি। ক্লায়েন্ট এর পছন্দ অনুযায়ী ওয়েবসাইট তৈরি করা ও নিয়মিত ওয়েবসাইট এর রক্ষনাবেক্ষন এর কাজ করা। এ ক্ষেত্রে আপনাকে অনেক বেশি কোড বা ডিজাইন শেখার প্রয়োজন পরে না। সহজ ভাবেই আপনি এ ধরণের কাজ গুলো শিখে নিতে পারবেন।

 সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট

বিভিন্ন কোম্পানি তাদের ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজ করার জন্য লোক নিয়োগ করে থাকে। যদি আপনি এ ধরণের কাজ গুলো করতে পারেন তবে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এর কাজ গুলো অনেক কাজের তুলনায় সহজ তবে এ ধরণের কাজ গুলো পাওয়া অনেক বেশি কঠিন। কাজ যত বেশি সহজ হবে সেটা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।

ক্রাফট ও ক্রিয়েটিভ কাজ – মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম

মহিলারা সাধারণত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাতের কাজের উপর অনেক বেশি দক্ষ হয়ে থাকেন। বাসায় বসে এসব কাজ করেও কিন্তু আয় করা যায়। আপনি বিভিন্ন ধরণের জিনিস তৈরি করে শোশ্যাল মিডিয়া ব্যাবহার করে সেগুলো কে বিক্রি করে দিতে পারেন। ক্রাফট করে আয় করার কয়েকটি উপায় হলো –

১. ক্রাফট পেইন্টিং

আপনারা যারা পেইন্টিং করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক কাজ এটি। বাসায় বসেই সুন্দর ডিজাইন এর পেইন্টিং, আর্ট করে আয় করতে পারেন। হোম মেইড পেইন্টিং গুলো বিভিন্ন পেইন্টিং ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন।

২. নিজের তৈরি কিটস

নিজের আইডিয়া দিয়ে বিভিন্ন ধরণের পুতুল, বেকিং ইত্যাদি তৈরি করতে পারেন। সেটা হতে পারে যে কোনো ধরণের খাবার। নিজের মতো ইউনিক ভাবে তৈরি করা হোম মেড জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্সন থাকে।

অনেকেই বিশেষ রেসিপির মাধ্যমে খাবার তৈরি করে বিক্রি করে অনলাইনে। আপনার যদি খাবার তৈরি বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানেত জন্য কেক তৈরি করার অভিজ্ঞতা থাকে তবে এসব কাজ করে অনলাইন অথবা অফলাইনে টাকা আয় করা সম্ভব।

৩. উপহার বানিয়ে ইনকাম

প্রায় সকল মানুষ উপহার দিতে পছন্দ করে। এটা নিত্যদিনের একটি চাহিদা। সুন্দর ভাবে বিভিন্ন ধরণের উপহার সামগ্রী তৈরি করে আপনি ইনকাম করতে পারেন।

বিশেষ করে – কাস্টমাইজড করা টি শার্ট, ছবির ফ্রেম, মগ ইত্যাদি। যে কোনো কিছুকেই নিজের মত সাজিয়ে বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন।

৪. দর্জির কাজ

মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম করার আরো একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো দর্জির কাজ করে ইনকাম করা। এ ক্ষেত্রে আপনি অন্যদের পোষাক বানিয়ে দিতে পারেন অথবা নিজে চাইলে পোষাক তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন।

টেইলরিং এর ক্ষেত্রে অফলাইনেও আপনি অনেক কাস্টমার পেয়ে যাবেন। আপনার এলাকার মধ্যে ভালো টেইলর না থাকলে আর আপনি যদি ভালো ভাবে পোষাক তৈরি করতে পারেন তবে আপনার কাজের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

৫. বাড়িতে তৈরি জুয়েলারি

বাড়িতে যদি আপনি সুন্দর ডিজাইনের জুয়েলারি তৈরি করতে পারেন তবে সেটা আপনি অনলাইনে অনেক ভালো দামে বিক্রি ও করতে পারবেন।

ই-কমার্স ব্যবসা – মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম

ই- কমার্স ব্যবসা বর্তমানে অনেক বেশি জনপ্রিয়। অনলাইনে যদি আপনি নিয়মিত যাতায়াত করেন তাহলে দেখতে পাবেন অনেক মহিলারা ই কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক টাকা আয় করতেছে। ই কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক বেশি টাকা আয় করা যায়।

তবে আপনার মার্কেটিং দক্ষতা অনেক বেশি ভালো না থাকলে ই কমার্স থেকে টাকা আয় করা টা অনেক টা কঠিন মনে হবে। যদি আপনি বিক্রি করার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ হোন তবে ই – কমার্স এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। সাধারণত ই কমার্স থেকে যেভাবে আয় করবেন –

১. ড্রপশিপিং

ই কমার্স বা অনলাইনে পন্য বিক্রি করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ড্রপশিপিং। এ ক্ষেত্রে আপনার কোনো টাকা ইনভেস্ট করতে হবে না এমন কি আপনার কোনো দোকান বা কিছুই দরকার হবে না।

আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া তে একটি অনলাইন দোকান খুলতে হবে। দোকান খোলা হয়ে গেলে সেখানে এমাজন বা অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে ভালো পণ্য গুলোর বিজ্ঞাপন দিতে হবে। যখন কোনো কাস্টমার কোনো পন্য অর্ডার করবে তখন আপনি অন্য ই কমার্স থেকে অর্ডার করে আপনার কাস্টমার কে দিয়ে দিবেন। এক্ষেত্রে আপনি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

২. এফিলিয়েট মার্কেটিং

অনলাইনে ঘরে বসে ইনকাম করার আরো একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং। যেখানে আপনি বিভিন্ন ই কমার্স প্রতিষ্ঠানের লিংক শেয়ার করে আয় করতে পারবেন।

তবে এফিলিয়েল মার্কেটিং করার জন্য আপনার একটা ফ্যানবেজ থাকতে হবে নয়ত আপনি লিংক গুলো প্রমোট কিভাবে করবেন? যদি আপনি লিংক প্রমোট করে আয় করতে চান তবে এমাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করতে পারেন। আপনার লিংক থেকে যত পন্য বিক্রি হবে সেটা অনুযায়ী আপনাকে কমিশন দেয়া হবে।

৩. প্রিন্ট

অনলাইনে প্রিন্টের তৈরি কাস্টম ডিজাইন গুলো অনেক বেশি পরিমানে দেখা যায়। যদি আপনি প্রিন্টিং করতে পারেন তবে বিভিন্ন ধরণের শার্ট, পাঞ্জাবি ইত্যাদিতে কাস্টম প্রিন্ট যুক্ত করে বিক্রি করে আয় করতে পারেন।

৪. অনলাইন দোকান

আপনি একটি অনলাইনে দোকান দিতে পারেন। যেমন ধরুন – রকমারি। এখানে আপনি প্রায় সব ধরণের বই ও ডিজিটাল পন্য গুলো পাওয়া যায়।

এভাবে দোকানের ক্ষেত্রে আপনাকে একটি ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেইজ ইত্যাদি থাকতে হবে। যদি মার্কেটিং জ্ঞান অনেক ভালো থাকে তবে এরকম ই কমার্স সাইট থেকে মাসে কয়েক লাখ টাকার উপরে ইনকাম করা সম্ভব।

কন্টেন্ট ক্রিয়েটর – মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম

কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এর পরিমান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি ইউটিউবে ঢুকলে বিভিন্ন ধরণের কন্টেন্ট আপনার চোখে পরবে। আপনি যদি চান তাহলে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে আপনার ইনকাম এর পথে যাত্রা শুরু করতে পারেন। কন্টেন্ট ক্রিয়েট করে যেভাবে আয় করবেন –

১. ব্লগিং

যদি আপনি ভিডিও কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করতে না চান তাহলে শুধু মাত্র লেখালেখির কন্টেন্ট তৈরি করে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হবে। নির্দিষ্ট একটা বিষয়ের উপরে যদি করতে পারেন তবে সেটা ভালো হবে।

নিয়মিত সেখানে কন্টেন্ট প্রকাশ করুন। বিভিন্ন বিজ্ঞাপন কোম্পানি যেমন গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে মনিটাইজ করে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। এ ছাড়াও আপনার ব্লগ সাইটে প্রমোসন বা এফিলিয়েট মার্কেটিং করেও আয় করতে পারবেন।

২. ভিডিও কন্টেন্ট

মান সম্মত ভিডিও কন্টেন্ট এর চাহিদা অনেক। তবে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনাকে স্ক্রিপ্ট, ভয়েস ওভার, এডিটিং বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। যদি এইসব কাজ গুলো আপনি করতে পারেন তবে ইউটিউব ও ফেসবুকে আপনার কন্টেন্ট আপলোড করে সেখান থেকে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।

৩. ই- বুক তৈরি

যদি আপনি একজন লেখক হয়ে থাকেন আর আপনার যদি লেখার দক্ষতা বেশ ভালো থাকে তাহলে ই বুক তৈরি করে সেটা প্রকাশ করে আয় করতে পারেন। ইংরেজির জন্য অনেক প্লাটফর্ম যেমন – এমাজন কিন্ডল। আর যদি আপনি বাংলায় লেখা ই বুক পাবলিস কর‍তে তবে – বই টই, রকমারি ইত্যাদি ওয়েবসাইটে।

হোম মেইড সার্ভিস – মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম

বাড়িতে বসে বিভিন্ন সেবা দিয়ে টাকা আয় করা যায়। যেসব মহিলারা ঘরে বসে বিভিন্ন সেবা দিয়ে টাকা আয় করতে চান তারা চাইলে নিচের দেয়া কাজ গুলোর মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন –

১. রান্না

হোম মেইড রান্নার কোনো বিকল্প নেই। আপনার রান্নার দক্ষতা যদি ভালো থাকে তবে সেটা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বাসায় বসে রান্না করতে পারেন। আপনার রান্না করা বিভিন্ন আইটেম গুলো লোকাল এলাকাতে ডেলিভারি দিবেন।

২. অনলাইন কোর্স তৈরি

বাসায় বসে বিভিন্ন কোর্স তৈরি করে ঘরে বসে অনেক টাকা আয় করা যায়। ধরুন – আপনার দর্জির ব্যাপারেই অনেক দক্ষতা আছে। এটা অনেকেই শিখতে আগ্রহী হবে।

তবে যারা অনেক দূর থেকে আপনার কোর্স করবে তারা বাসায় এসে শিখতে পারবে না তাদের কে আপনি অনলাইন এর মাধ্যমে কোর্স করিয়ে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।

৩. ব্যাক্তিগত কোচিং

বিভিন্ন দক্ষকামূলক কাজের ক্ষেত্রে আপনি একটি কোচিং সেন্টার খুলতে পারেন। পিঠা, কেক, বিভিন্ন রেসিপি ইত্যাদি শেখানোর জন্য আপনার বাসা যথেষ্ট। আর এ ধরণের কোর্স গুলো আপনি বাসায় বসে ম্যানেজ করতে পারবেন।

যেহেতু এগুলো শেখার চাহিদা অনেক রয়েছে মহিলাদের ক্ষেত্রে তাই আপনি অনেক লোক পাবেন। ঘরে বসে ইনকাম করাও হয়ে যাবে আপনার।

৪. অনলাইন ফিটনেস ক্লাস

অনলাইনে বিভিন্ন ধরণের বেয়াম ও ফিটনেস ক্লাস করাতে পারেন। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে অনেক বেশি চাহিদা সম্পন্ন একটি কাজ এটি। তবে এ বিষয়ের উপর আপনাকে অনেক বেশি দক্ষ হতে হবে।


উপরে আমরা ০৫ টি ক্যাটাগেরি তে অনেক গুলো কাজের উপায় সম্পর্কে আপনাদের আইডিয়া দিলাম যদি কোনো আইডিয়া আপনাদের জন্য হেল্পফুল না হয় তবে নিচে আরো কয়েকটি আইডিয়া আমি শেয়ার করলাম –ফটোগ্রাফি : ফটোগ্রাফি বেশ চাহিদা সম্পন্ন একটি কাজ। একজন ভালো ফটোগ্রাফার অনেক ভাবে টাকা আয় করতে পারে। প্রথম নিজের ক্যাপচার করা ছবি আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইটে বিক্রি করার মাধ্যমে আবার কোনো অর্গানাইজেশনের হয়ে কাজ করার মাধ্যমে। তবে এটা আপনি বাসায় বসে করতে পারবেন না।
ভয়েস ওভার : ঘরে বসে আয় করার জন্য ভালো একটি উপায় হলো ভয়েস ওভার করে ইনকাম করা। এ ক্ষেত্রে লক্ষনীয় হলো আপনার ভয়েস কোয়ালিটি অবশ্যই সুন্দর হতে হবে।

যদি আপনার ভয়েস সুন্দর হয় তবে বিভিন্ন ভিডিও তে আপনি ভয়েস ওভার করতে পারবেন। আপনি চাইলে ডাবিং করেও ভিডিও আপলোড কর‍তে পারেন অথবা ফ্রিল্যান্সিং ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে টাকা আয় করতে পারবেন বাসায় বসেই।ভার্চুয়াল ইভেন্টস : আমরা অনেক সময় ভার্চুয়াল ইভেন্টস দেখে থাকি। বিশেষ করে করোনা পরবর্তী কাল থেকে ভার্চুয়াল ইভেন্টস এর পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে আপনি হতে পারেন হোস্ট। আপনি উপস্থাপক হয়ে কোনো ইভেন্টস পরিচালনা করতে পারেন।
মার্কেট রিচার্স : বিভিন্ন কোম্পানি তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য মার্কেট এর সার্বিক অবস্থার পেপার গুলো ক্রয় করে থাকে। যদি আপনার মার্কেট সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে তবে মার্কেট রিসার্চ পেপাস তৈরি করে ভালো টাকা আয় করতে পারেন।
প্রোগ্রামিং : প্রোগ্রামিং মোটামুটি একটি কঠিন কম্পিউটার ভাষা। যদি আপনি প্রোগ্রামিং শিখতে পারেন তবে মোবাইল এপস তৈরি করতে পারবেন। এপস তৈরি করতে পারলে অনলাইনে আপনি দেশে বিদেশে প্রচুর পরিমানে কাজ অনায়াসে পেয়ে যাবেন।

মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম করা সম্পর্কে আমাদের মতামত

আর্টকেলে আমরা অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা করলাম। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক আইডিয়া শেয়ার করলাম। ইনকাম করার শুরুতেই আপনাকে ভাবতে হবে আপনি আসলেই দক্ষ হয়েছেন কি না। দক্ষতা ছাড়া অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করা নিতান্তই অসম্ভব।

কত টাকা ইনকাম হবে বা ইনকাম হচ্ছে না এটার উপর ফোকাস না করে সবসময় আপনার কাজের মান বৃদ্ধি তে ফোকাস করুন। যখন আপনার কাজের মান অন্য ১০ জনের থেকে ভালো হবে তখন আপনার ইনকাম ও শুরু হয়ে যাবে। অনলাইনে ইনকাম করতে চাইলে এখানে দেয়া উপায় গুলোর যে কোনো একটি খুব ভালো ভাবে শেখার চেষ্টা করুন, আর্টিকেল টি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url