ওজন কমাতে কাঁচা আম
ওজন কমাতে কাঁচা আম ও কাঁচা আমের উপকারিতা

আম বিশ্বজুড়ে একটি জনপ্রিয় ফল। বাংলাদেশে এর জনপ্রিয়তা আরও বেশি। আর এখন চলছে আমের সিজন।
কাঁচা আম হচ্ছে পুষ্টির পাওয়ার হাউস। কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন হাড়ের বৃদ্ধিসহ আরও অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ভিটামিন সি।
গ্রীষ্ম কালের গরমে আমের শরবত নিঃসন্দেহে শরীর ঠান্ডা রাখতে সহযোগিতা করে। আমের উপকারিতা শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয়।
হজম করতে এবং ওজন কমাতে কাঁচা আম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাঁচা আম ওজন কমাতে খুবই কার্যকর। চলুন যেনে নেওয়া যাক কাঁচা আম কিভাবে ওজন কমায় এবং এর উপকারিতা।
ওজন কমাতে যেভাবে আম কাজ করেঃ
১. কাঁচা আম মেদ ঝড়ায়ঃ
কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এছাড়াও ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও প্রচুর পরিমাণে থাকে।
এসব আপনার শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ মুক্ত করতে এবং স্বাস্থ্য কর উপায়ে অন্ত্রায়ী গতি বাড়াতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। ফলে আপনার শরীর হবে মেনহীন।
প্রতিদিন এক গ্লাস আমের শরবত পান করলে শরীর থেকে মেদ কমাতে অনেক সাহায্য করবে।
যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য কম ক্যালরি যুক্ত খাবার খাওয়া অতিব গুরুত্বপূর্ণ। যারা ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করে খাবার খেয়ে থাকেন তারা আমকে আপনার মেনুতে এড করতে পারেন।
আপনার ওজন কমানোর সহায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে কাঁচা আম।
৩. বিপাকক্রিয়া বড়ায়ঃ
মেটাবলিজম বা বিপকাক্রিয়া বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কাঁচা আম। পুষ্টির ফ্যাক্টরি হচ্ছে কাঁচা আম।
কাঁচা আম আপনার বিপাকক্রিয়া বাড়াতে সাহায্য করবে। এভাবেই ক্যালোরি পুড়াতে কাঁচা আম কাজ করে থাকে। এক্ষেত্রে কাঁচা আমের জুস খুবই উপকারী।
৪. চিনি কমঃ
কাঁচা আম – শব্দের মধ্যেই রয়েছে সহজ হিসাব। কাঁচা শব্দ দ্বারাই বোঝায় পাকা আমে যে পরিমাণ চিনি থাকে, তার চেয়ে অনেক কম চিনি থাকে কাঁচা আমে।
ওজন বৃদ্ধিতে চিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাকা সব ফলেই বেশ পরিমানে চিনি বিদ্যমান।
তাই পাকা আমের মতো কাঁচা আম নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। ওজন কমাতে খুবই উপকারী কাঁচা আম।
প্রতিদিন তরকারি রান্নায় কাঁচা আম দিলে তারকারির যেমন স্বাদ বৃদ্ধি পায়, ঠিক তেমনি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণ ডায়েটরি ফাইবার রয়েছে। এইসব ফাইবার হজম হতে বেশ সময় নেয়। যেহেতু এইগুলো আপনার পাকস্থলীতে থাকে, তাই আপনাকে সব সময় কাঁচা আম আপনাকে ভর পেটের অনুভূতি দেয়।
আপনি যদি আপনার পেট ভরা অনুভূতি পান তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই আপনার খাওয়া কমে যাবে। এতে করে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণেও থাকবে। এবং আপনার স্বাস্থ্য থাকবে ফিট।
৬. ফ্যাট কমঃ
কাঁচা আমে খুব কম পরিমাণে ফ্যাট থাকে। আপনি যদি হালকা ফ্যাটের ডায়েটে থাকেন অর্থাৎ যে ডায়েটে হালকা ফ্যাট যুক্ত খাবার খাওয়া যাবে তাহলে আপনি কাঁচা আম নিঃসন্দেহে খেতে পারেন।
কাঁচা আমে ফ্যাট কম থাকায় শরীরের কোন ক্ষতি এটি করবে না বা ফ্যাট ততটা বৃদ্ধি করবে না।
৭. হজম শক্তি বাড়ায়ঃ
হজম ভালো হওয়ার কারণে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুকি থাকে না। আপনি যদি ওজন দ্রুত হ্রাস করতে চান, তাহলে কাঁচা আমের সাথে চিনি বা অন্য কোন স্বাদযুক্ত সস ব্যবহার না করে কাঁচা আমের সালাদ বানিয়ে নিতে পারেন।
এই কাঁচা আমের সালাদে লেবু, কাঁচা মরিচ, পুদিনা পাতা, লেটুস যোগ করতে পারেন। ওজন কমাতে এই সালাদ ট্রাই করতে পারেন।
এরকম অনেক উপকারীতা রয়েছে কাঁচা আমের। তাই এই গরমে কাঁচা আম বেশি বেশি করে খাওয়া উচিৎ। একটা নির্দিষ্ট সময় পর বাজারে আর পাওয়া যাবে না কাঁচা আম।
তাই সময় থাকতেই বদলে ফেলুন আপনার খাদ্য তালিকা। মাথায় রাখুন, আপনার স্বাস্থ্যই আপনার সব!
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url